Category / Departed Childhood

This is all about my childhood

    Loading posts...
  • খড়ের বাড়ি

    গনগনে লালচে আগুনটাকে চারপাশের নিকষ অন্ধকার যেন গ্রাস করে ফেলতে চায়। আগুণের বাইরে দৃষ্টি গেলেই গা ছম ছম করতো। আমার পৃথিবীটা তখন আটকে জেত সেই ছোট্ট আগুণের কুন্ডুলিতে। তখনো জানিনি সময়ের গল্পে এই মুহূর্তের আবর্তন হবে না আর। তখনো জানিনি এই শিতের রাতের অন্ধকারে আর কোন গল্প থাকবে না। সময় যেন কুয়াশার মত পড়তে পড়তে চাদর বিছিয়ে এই গল্পগুলি কোথায় লুকিয়ে ফেলেছে। আমার হৃদয়টাকে এই ছোট খালের পাড়ে ধানক্ষেত লাগোয়া বড় রাস্তার পাশে বেঁধে দিয়ে সময় তার আবর্তে হারিয়ে গেছে।

  • েফলে আসা শৈশব খণ্ড ঃ ৭ (বরিশাল জিলা স্কুল)

    আমাদেরকে প্রশ্নপত্র দেয়া হল। এক পৃষ্ঠার প্রশ্নপত্র ! আমাকে ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্নপত্র সম্পর্কে যে ধারনা দেয়া হয়েছিল তার সাথে এর কোন মিল নেই। আমি প্রচণ্ড ঘাবড়ে গেলাম প্রশ্নপত্র পুরোটা না দেখেই। ভয়ার্ত আর অসহায় চোখ গুলি আনমনেই জানালার বাইরে আম্মাকে খুঁজে যাচ্ছে। যেন কোন একটা অভিযোগ এখুনি করে ফেলবে? “তুমি যেমন প্রশ্নের কথা বলেছিলে তেমনটা আসেনি কেন !”। হটৎ ভিড়ের মাঝে একটা হাত আমি খুঁজে পাই। আম্মার হাত! হাত নাড়িয়ে সে আমাকে খাতায় লিখতে বলছে।

  • েফলে আসা শৈশব খণ্ড ঃ ৬ (টিনটিন আর ফাহিমের কথা)

    আমার ছেলেবেলাটা কেটে গেছে স্কুল বদলাতে বদলাতে। ২-১ বছর পর পরই স্কুল পরিবর্তন করে নতুন স্কুলে ভর্তি হওয়া। ১৯৯৬ সালে যখন ঢাকায় চলে আসি মায়ের সাথে, ফেলে আসি শৈশবের প্রিয় বরিশাল জিলা…

  • েফলে আসা শৈশব খণ্ড ঃ ৫

    রিক্সার বল এর সংগ্রশালা ও রক্ষনা বেক্ষণ এর কাজ চলত বাসার একতলা লাগোয়া ছাদে। মাঝে মাঝে ছাদে বসে বলগুলি কৌটা থেকে বের করে নিবিড় মনোযোগ দিয়ে গুনতাম আর কেরোসিন তেল দিয়ে ভিজিয়ে রাখতাম। কেরোসিন তেল এর বিশেষ অপকারিতা হলো সাবান দিয়ে ধুলেও গন্ধ থেকে যায়। যথা রীতি মায়ের কাছে ধরা পরার সম্ভাবনা নিশ্চিত হয়। যখন আমরা বরিশাল ছেড়ে ঢাকা চলে আসি তখনও বল গুলি ছিল আমার কাছে ছাদের একটা বিশেষ গোপন জায়গায় সেগুলি রেখে দিয়েছিলাম। এখন অবশ‍্য গোপন জায়গার নাম বললে ক্ষতি কিছু নেই। জায়গাটা ছিল পূর্ব পাশের সানসেট এর উপরে। সেখানে কৌটা রাখাটা একটু ভয়ের ছিল। পিছলে গেলে নিচে পরে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ছিল। পরে আমি অনেক বার বরিশাল এ আমাদের সেই বাড়িতে গেছি কিন্তু সানসেটের ঐ জায়গাটার কথা আর মনে পড়েনি কখনো।

  • ফেলে আসা শৈশব খণ্ডঃ ৪ “হলুদ বাড়ি”

    বরিশাল শহরটার ধরনটাই একটু নিরিবিলি আর শান্ত। এখানে খুব বেশি একটা ভীড় বাট্টা লেগে থাকেনা পথ ঘাট জুড়ে। কোথাও তীব্র জনস্রোত নেই, নেই কোনো যানজট বা শব্দ দূষণ । কিছু মানুষ কে সারাদিনই ঘুরে ফিরে পথে ঘটে দেখা যাবে। চেনা পরিচিত মানুষের শহর যেন। সবকিছুই যেন একটা সীমাবদ্ধ গণ্ডির মাঝে নির্ঝনঝাটে কেটে যায়। শহরটাতে পুরনো বাড়িই বেশি, তবে এখন অনেক নতুন বহুতল বাড়ি দেখা যায় সর্বত্রই।

  • েফলে আসা শৈশব খণ্ড ঃ ৩

    ঠিক কবে লেখাপড়া ব‍্যাপারটা শুরু করে ছিলাম সেটা আর দিন ক্ষণ গুনে মনে নেই। তবে এটা খুব সত্য যে পরালেখা ব‍্যাপারটা কখনই আনন্দ দায়ক ছিল না বৈকি। আজ ৩/০৮/২০১১ তে দিন ক্ষণ গুলে লেখা পরার পাট চুকিয়ে ফেলছি। বরাবরই নিরানন্দ এই প্রহসন এর সমাপ্তি টানায় মনের গহিনে কোথায় যেন একটা অনন্ত ছুটির ঘণ্টা বেজে উঠলো। নিয়ম – শৃঙ্খলা, অনুশাসন, অর্জন – বিসর্জন আর প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড় থেকে চীর মুক্তি লাভের এই আনন্দ যেন কোনো কিছুর সাথে তুলনীয় নয়। আজ আর থাকছেনা কোনো পরীক্ষার তাড়া কিংবা হাজিরা টানার নিদারুন ক্লান্তি। এখন শুধু শান্তি শান্তি আর শান্তি।

  • েফলে আসা শৈশব খণ্ড ঃ ২

    অপূর্ব এক মুক্ত শৈশব আমার চেতনার অলিন্দে এসে বসে থাকে এই ভরদুপুরে । খুব প্রিয় ছিল ইস্কুলের সাদা শার্ট আর সাদা প‍্যান্ট । ইস্কুল এর ড্রেস পরাটা ছিল চূড়ান্ত উপভোগ্য বিষয় । ক্লাস এর গদ বাঁধা লেখা পরা ছাড়া আর সবই ছিল অসামান্য আনন্দের । বরিশাল জিলা ইস্কুল এর মাঠটাকে মনে হত তেপান্তরের মাঠ । ইস্কুল এ সব থেকে মন খারাপ করা জায়গা ছিল সাইকেল গ‍্যারেজ । ১০০ টার উপরে সাইকেল সার বেধে থাকত ।

  • ফেলে আসা শৈশব খণ্ডঃ ১

    কোন কিছু লেখার আগে ভাবি, একটা সূচনা থাকা উচিৎ কিন্তুু ওরকম কিছু লেখাটা বরাবরই বাতুলতা বলে মনে হয়েছে। সে যাই হোক মাঝে মাঝেই হঠাৎ হঠাৎ ছোট বেলার কথা ভাবি। তেমন উল্লেখযোগ‍্য শৈশব আমার নয়। আর সবকিছুই ঝাপসা হয়ে গেছে। খুব ধ্রুত স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলাটাও এর পেছনে একটা কারন হবে হয়তো।

    খুব অদ্ভুত কারনে আমার শৈশবে যখন পরিপূর্নতা আসে সেসময় এর কোন স্মৃতিই আমার মনে নেই। আমি দেেখছি মোটা মুটি সবারই খুব ছোট বেলার কিছু ছবি থােক। েযগুলি পরে নানা ভাবে শৈশবের স্মৃতিচারনার উপায় হয়ে ওঠে। আমার কাছে এরকম ছবি আছে সর্বসাকুল্লে‍্য ২টি।তার মাঝে একটা এমন সময়ের ওই সময়ের কথা মনে না থাকাই যুক্তি যুক্ত। প্রচন্ড স্মৃতি ভ্রমের কবলে সব স্মৃতিই হারিয়ে যাচ্ছে। চেষ্টা করব অবশিষ্ট যা মনে আছে তা নথিবদ্ধ করে েফলতে।