Category / চিঠি (Letters)

All of my Letters

    Loading posts...
  • আলিওশার স্মৃতি (চিঠি – ১২)

    হটাত আমার চোখ আটকে গেলো এক টুকরো কালো কাপড়ের দিকে। একটা শাটল স্কুটার থেকে এক ফালি কালো কাপড় বাতাসে উড়ছে। আর এক জোড়া সরু ভরাট পায়ের কিছুটা দৃশ্যমান হচ্ছে। স্কুটারটা একটানে সামনে চলে গেল।

  • আলিওশার স্মৃতি (চিঠি – ১১)

    প্রিয় জয়ন্তী, আলিওশার কথা তোমাকে বলেছিলাম। তুমি বার বার জানতে চাইতে ওর কথা। আমার স্মৃতিতে অনেক গুলি চমৎকার গল্পের মাঝে আলিওশার গল্প অন্যতম। আমি চাইতাম না এই বিশেষ গল্পটি কারো সাথে ভাগ…

  • অসুখের সকাল সন্ধ্যা (চিঠি – ১০)

    মাথা ধরে আছে অনেকক্ষন ধরেই। বাইরে প্রচণ্ড রোদের উত্তাপ। সকাল মাত্র গড়িয়েছে। আজ আমার কাজে জাওয়া হয়নি। জয়া অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে আছে গত ২ দিন। প্রথম দিনটা খুব বাজে ভাবে বেচারিয়ে ভুগিয়েছে। আমি মানুষের শারীরিক সমস্যা খুব ভালভাবে নিতে পারি না। আমি খুব সাবধানে জয়াকে নানা রকম সহযোগিতা করে যাচ্ছি। এই কাজ গুলি করতে যেয়ে আমার সঙ্কোচ হচ্ছে কেন জানি। বারংবার মনে হচ্ছে যেন আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে হয়ত তোমাকে আর বেশি সহযোগিতা কিংবা শুস্রশা দিতে পারত। আমি হয়তো সবকিছু ঠিক ভাবে করতে পারছি না। তোমার আরও কিছু সহযোগিতার হয়তো দরকার ছিল।

  • পেত্রভানিয়ার দিনগুলি ঃ চতুর্থ খন্ড (চিঠি – ৯)

    বাল্টিকের তীরে ঝিমিয়ে পড়া সূর্যটা ক্লান্ত হয়ে পশ্চিমের আকাশে লাল রং এঁকে নিভে গেছে। আমি সহজেই তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে তোমাকে প্রশ্ন করেছিলাম “আমাদের গন্তব্য কোথায়?” তুমি কিছুক্ষণ কি যেন ভেবে বলেছিলে “আমাদের কোনো গন্তব্য নেই, আমরা পথের শেষটায় এসেই মিলেছি। আমাদের দু’জনার গন্তব্যও এখানটায় এসে শেষ হয়ে গেছে”। এলোমেলো বাতাস থেমে থেমে বয়ে যাচ্ছে হালকা ঠান্ডার পরশ মেখে। জনমানবহীন এই বালুকাবেলায় এসে নিঃশিম সাগরের ডেউ গুলি তাদের গন্তব্য হারিয়ে আছড়ে পড়ছে।

  • পেত্রভানিয়ার দিনগুলি ঃ দ্বিতীয় খন্ড (চিঠি – ৭)

    তোমার বিস্ফারিত চোখ গুলি যেন সব প্রশ্নের উত্তর একসাথে পেতে চাইছে। করিডরে কেউ হয়ত শব্দ তুলে হেঁটে গেল খুব দ্রুত। নিচে কেউ হয়ত কাউকে চিৎকার করে একবার ডাকলো। এরপরে সব কিছু শুনশান আবার। অনেক প্রতিক্ষার আর অনেক অজানা সময় পেছনে ফেলে আজ অজানা দুটি গল্প মুখোমুখি। ঘটনার দ্রুততায় আমরা দুজনেই কয়েকমুহুর্তের জন্য নির্বাক হয়ে যাই। আমি সন্তপর্নে লাগেজটি নিচে নামিয়ে রাখি। ততক্ষনে তোমার দুটি প্রসারিত বহু আমাকে ঝড়ের বেগে জড়িয়ে নিয়েছে। লেসে বাধা এক রাশ ইষৎ বাদামী চুল আমার মুখ ঢেকে দেয়।

  • পেত্রভানিয়ার দিনগুলি ঃ প্রথম খন্ড (চিঠি – ৬)

    প্রিয় জয়ন্তী, পেত্রভানিয়ার দিন গুলির কথা কি মনে আছে তোমার? উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা সুবিন‍্যস্ত বড় সে শহর। তোমার ছোটবেলার শহর। যেখানে কেটেছে তোমার শৈশব আর কৈশোরের অনেকটা সময়। আমাদের প্রথম পরিচয়ের পরে…

  • জন্মভূমি ও লুলাবাই (চিঠি – ৫)

    প্রিয়তমা কন্যা ওয়াদিয়াত জামান, মৃত্যু কতটা ভয়াবহ মানুষ তার জীবত দ্বশায় কখনো তা উপলব্ধি করার সুযোগ পায় না। তাকে অপেক্ষা করতে হয় সে ভয়াবহ ক্ষণটির জন্য। স্বাভাবিক মৃত্যু বলতে আমরা বার্ধক্য জনিত…

  • প্রথম পরিচয় ও লিটল উডস (চিঠি – ৪)

    তখনও আমরা ফরেস্ট লনের এই বাড়িতে আসিনি। টাউন সেন্টার এর পাশে এলিস্টন রোডের এ‍্যাপার্টমেন্টে থাকতাম। গ্রীষ্মের শেষের দিকের কোনো এক রাতেই আমাদের প্রথম কথা হয়েছিল। সন্ধ্যা পেরুনো কোনো এক নিরব রাতে কেউ একজন পেছন থেকে বল্লো “এই পুলের পানি কতদিন ধরে পরিষ্কার করনি?” ভেতরের নিঃসঙ্গ ক্লান্তি আমায় চমকে দেয়ার শক্তি টুকুও শেষ করে দিয়েছে যেন। মোটামুটি সব ভাবাবেগ সামলে নিয়ে পেছন ফিরে তাকাই। তোমাকে অন্ধকারে ভালোভাবে দেখতেই পাই নি। আমি তোমার পরিচয় জানার জন্য উদগ্রীব ছিলাম। যদিও সেদিকে তোমার কোনো উৎসাহই ছিল না বরং তুমি পুলের পাশে রাখা ফুলের গাছগুলির প্রশংসায় ব্যস্ত ছিলে। তুমি আমাকে অবাক হয়ে জিগ্গেস করেছিলে, আমি এখানে একা কিভাবে থাকি। আমিও কিছুটা অবাক হয়ে ভাবছিলাম … “আমি কিভাবে একা থাকি!”

  • ফরেস্ট লন (চিঠি – ৩)

    প্রিয় জয়ন্তী,

    সাউথ পার্কের ফরেস্ট লনের উঁচু তিন তলা উইন্টার হোমের বাইরে আজ বিকেল গড়িয়ে যাচ্ছে। হালকা বরফের পাতলা আস্তরে ঢেকে আছে সবকিছু। এখনে শীত এর সময়টা খুবই বিচিত্র। মাঝে মাঝে হালকা বরফ পড়ে, আবার ২-১ দিনের মধ্যেই এই বরফ সরে গিয়ে হলদে ঘাস দেখা দিবে। আমি আনমনে দাঁড়িয়ে ভাবছি শেষ করে এই লনে এসেছিলাম আমি। কতগুলি শীত যে এলেবেলে পেড়িয়ে গেছে।এখানে অনেক স্মৃতি আমার। বেঁচে থাকার অনেক অনুপ্রেরণা। পাতা ঝড়া বসন্তের অনেক বিকেল পেরুনোর গল্প। অনেক অলস সকালের সূর্যের কাছ থেকে লুকিয়ে ঘুমিয়ে থাকা। দোতলার ঘুল ঘুলি জানালা গুলি বন্ধ। পার্কিং পোচর্ে ফায়ার প্লেসের আগুন জ্বালানোর কাঠ গুলিও জড়ো করা নেই। লাল ইটের গা বেয়ে শীতে নিস্প্রান কালচে শেওলা গুলি মলিন হয়ে আছে।

  • আগুনের ফুল (চিঠি – 2)

    প্রিয় জয়ন্তী, দক্ষিনের দীর্ঘ সমতলে যখন শীতের হিমশীতল বাতাস বয়ে যায় বিকেল গুলিতে, আমি তখনকার কথা বলছি। আমরা কাজ শেষে ঘরে ফিরে আসার সময় গুলিতে প্রায়ই গল্প করতাম দক্ষিনের সমতলের নদী গুলিতে…