আমার মৃত্যু
ঝাপসা বৃষ্টির ছাঁটে ধূসর কোন দুপুরে
হাঁসের পাল নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকে পুকুর ঘাটে
একটা সাদা গরু চুপ চাপ ভিজে যায়
ঈশ্বরের সব রং নিয়ে গুটিসুটি একটা মাছরাঙ্গা
আজ বুঝি ওড়া হবে না
কার্নিশের খোপে দাঁড়িয়ে থাকে কবুতর
আমন ধানের ক্ষেতে এলোমেলো বাতাস
দূরের রাস্তায় কেউ ধ্রুত পা ফেলে যায়
দক্ষিণের বাগানের আইলে একটা ব্যাং
মাঝে মাঝে ডাকে
বৃষ্টির ঠাণ্ডা ছাঁটে জানালার লোহার গরাদ গলে
মাঝে মাঝে একটা মুখ উকি দেয়
গরাদ গলে একটা হাত ছুঁয়ে যায় জল
পলি জমা নদীতে বৃষ্টির উচ্ছ্বাস
শূন্য খেয়া আর ইলিশের নৌকা ঘাটে
সোনালি রোদের বিকেলের অপেক্ষায়
রিক্ত বুক জমাট শোকে সিক্ত হয়
আর যদি ফিরে না আসি
আমাকে ঘুম পারিয়ে দিও
পায়রা নদীর পাড়ে
সুপারি গাছের বাগানে
আমি অণুতে বিলীন হব
প্রতি বসন্তে ফিরে আসবো
হিজলের-কড়াই এর ডালে
ফুটে ফুটে ঝরে যাব চৈত্রের বিকেলে
ঠিক যেভাবে
আমার পূর্বপুরুষেরা হারিয়ে গিয়েছিল
এই নদীর তীরে