আলিওশার স্মৃতি (চিঠি – ১১)
প্রিয় জয়ন্তী,
আলিওশার কথা তোমাকে বলেছিলাম। তুমি বার বার জানতে চাইতে ওর কথা। আমার স্মৃতিতে অনেক গুলি চমৎকার গল্পের মাঝে আলিওশার গল্প অন্যতম। আমি চাইতাম না এই বিশেষ গল্পটি কারো সাথে ভাগ করে নিতে। আমার কেন জানি ইচ্ছেও হয়নি কখনো। এটা নিছক কোন গল্প নয়। এটা একটা বিশাল জীবনের ক্ষুদ্রতম সময়ের শীর্ষ অনুভূতির প্রকাশ। আমি আলিওশা ও তার ছেলে বন্ধু জাহেরির জীবনে ঘটে জাওয়া এই গল্পটার সাক্ষী। আমার এলিস্টন-এ ভবঘুরে জীবনে খুব কম সময়ের জন্য আমি এই বিচিত্র ও প্রচণ্ড আবেগ তাড়িত দুটি মানুষের সাথে পরিচিত হই। গত শীতের শেষে আমরা যখন এলিস্টন রোডে ঘুরতে যাই হটাত তোমাকে বলেছিলাম আলিওশার কথা। তখন থেকেই তুমি ওদের কথা জানতে চাইতে। কি জানি কোন এক অদ্ভুত কারনে আমি প্রচণ্ড হতাশায় নিভে যাই ওই সময়ের গল্পগুলি ভাবলেই। সবকিছু ভুল বোঝাবুঝিতে নিমিষেই হারিয়ে গেছে দুটি জীবনের। আর যাইহোক এটা বয়ে বেড়ানোর মত স্মৃতি নয়। বন্ধু ভেবেই দূরে সরে গেছে সব পরিচয়।
আমরা পায়রার পাড়ে এসেছি। এখানে শীতের বিকেলের নিস্তব্ধ নদী আর ঘাসের চাদরে মোড়া নদীর তীর। গল্পটার শুরু এখানেই করা উচিৎ। জাহেরির বর্ণনাতেই তোমাকে বলছি …
মনিটরে ক্রমাগত একটার পর একটা সিগন্যাল আসছে। রবিবার রাতে ডিস্ট্রিবিউশন হাবে সব থেকে বেশি চাপ থাকে। প্রায় টানা ২ ঘণ্টা ইমারজেন্সি এলোকেশন করে আমি হাঁপিয়ে গেছি। ডেস্কেই তন্দ্রার মত এসে গিয়েছিল হয়তো। মোবাইলে নোটিফিকেশনের শব্দে আমার তন্দ্রা কেটে যায়। মোবাইলটা টেনে নিতেই নোটিফিকেশনটা চোখে পড়লো। একটা মেসেজের উত্তর যা অনেক আগে আমি আগন্তুক একজনকে দিয়েছিলাম। এক লাইনেই মেসেজ শেষ! “আপনাকে চিনি না তবুও বন্ধু লিস্টে নিয়ে নিচ্ছি” এই গল্পটা এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারতো হয়তো ………
জয়া আমি এই গল্পটা আর লিখতে পারছি না। আমার স্মৃতিগুলি ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। যদি কখনো ভাল লাগে আমি তোমাকে আবার লিখবো আলিওশার কথা। আমি দুঃখিত